শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০১৪

বিয়ের পাত্রী দেখতে গেলে যে মেয়ে তোমাকে " সরা সরি বলবে তার এফেয়ার আছে" সেই বিয়েতেই তোমার হ্যা বলা উচিত

বিয়ের পাত্রী দেখতে গেলে যে মেয়ে তোমাকে " সরা সরি বলবে তার এফেয়ার আছে" সেই বিয়েতেই তোমার হ্যা বলা উচিত।কারন মেয়েটা ওনেস্ট । কপালে তো এমনিতেই ইউজড করাই জুটবে সো নিস্টাবান কাউ কে পেলে খারাপ কি।তবে হ্যা এই জন্য তোমাকে সত্যিকারের পুরুষ হতে হবে যাতে বিয়ের পরওই ছেলে যাতে আর কিছু করতে না পারে।সব চেয়ে ভাল হয় বউ ঘরে তোলার আগে ওই ছেলেকে সাইজ করে দেয়া।

গার্ল ফ্রেন্ডের সামনে বয় ফ্রেন্ডকে পিটাইতে বয়ফ্রেন্ডের সামনে গার্ল ফ্রেন্ডকে খেলে দেয়ার মাঝে একটা পৈশাচিক আনন্দ আছে।
এদের সম্পর্ক ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবে নাজায়েজ। গার্ল ফ্রেন্ড মত বেশ্যাকে খেলা আর বয়ফ্রন্ডের মত মাগী বাজকে মারা খারাপ কিছু না।

সত্য সবসময় বলা উচিত না কারণ সত্য অনেক সময় আবার অশ্লীল এর পর্যায়ে পড়ে

#রেজারের এর বিজ্ঞাপন এ " গাল দেখায়" 
#টুথপেষ্ট এর বিজ্ঞাপন এ " দাঁত দেখায় " .
#সাবানের এর বিজ্ঞাপন এ " শরীর দেখায় " 
#লিপজেলের এর বিজ্ঞাপন এ ঠোঁট দেখায় ,
বাচ্চাদের #পাম্পাসের বিজ্ঞাপনে বাচ্চাদের নাদুস নুদুস পাচ্চু দেখায় 

বাই দ্যা ওয়ে এই #সেনোরার বিজ্ঞাপন এ এইরকম প্রতরণা কেন ??টা



#কন্ডম এর বিজ্ঞাপনও কিন্তু প্রতরণায় পিছিয়ে নাই   



যারা মনে করো একটা মেয়ে কারো গার্ল ফ্রেন্ড হতেই পারে এটাই স্বাভাবিক।তারা একবার ভেবে দেখ তোমার মাও কারো গার্ল ফ্রেন্ড ছিল বা আছে।

বাবা হল সেই অদৃশ্য দেয়াল যিনি না থাকলে হয়ত অনেক আগেই আমি ভেঙ্গে গুঁড়ো হয়ে রাস্তায় মিশে যেতাম।

বাবা।
ছোটবেলায় শব্দটি একটি আতংকের নাম হলেও বড় হতে হতে বুজতে পারলাম বাবা মানে হল আস্থার প্রতীক।
জন্মের আগে মা যেমন আমায় দশমাস দশদিন পেটে ধরেছিল, তেমনি আমি যেন পৃথিবীতে সুস্থভাবে আলো দেখতে পারি তা নিশ্চিত করেছেন আমার বাবা।
ছোটবেলায় আমার হাত ধরে যিনি আমাকে হাঁটা শিখিয়েছিলেন তিনি আমার বাবা। যদিও বয়স বাড়ার সাথে সাথে দৌড়াতে শিখার পর পিছনে ফিরে কখনো বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হয়নি, বরং অতিরিক্ত দুরন্তপনার জন্য যখন তিনি রুষ্ট হতেন তখন মনে হত পৃথিবীতে উনিই বোধহয় সবচেয়ে খারাপ মানুষ। তখন তো বুজিনি যে এই খারাপ মানুষটিই আমার সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী। উনি আমার কাছে খারাপ হয়েছিলেন যাতে আমি ভালোভাবে চলতে শিখি।
ছোটবেলায় পড়ালেখার জন্য বাবার হাতে মার খেতে খেতে যখন চিন্তা করতাম নিজের বাচ্চার উপর এতটা নির্দয় মানুষ কেমনে হতে পারে? তখন হয়ত খেয়াল করিনি, তবে আমি নিশ্চিত, মার খেয়ে যখন কান্না করে ঘুমুতাম তখন নিঃশব্দে বাবা নিশ্চয় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন।
আমায় জন্ম দিয়েছেন আমার মা, কিন্তু যে মানুষটি আমাকে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষাসহ আমায় ভালোভাবে বড় হয়ে উঠার পরিবেশ দিয়েছেন তিনি আমার বাবা। বাবা আছেন বলেই হয়ত আমাকে চিন্তা করতে হয়না আজ বাসায় গিয়ে কি খাব, আমার টিউশন ফি কে দেবে, বাসা ভাড়া কিভাবে দিতে হয়। বরং আমরা চিন্তা করি রিউস কেন ইনজুরিতে?, কে সেরা? মেসি না রোনালদো?, বিশ্বকাপটা সন্ধ্যায় হলে কি হত?
এমনকি কলেজে পড়ার সময়ও যখন বাবার সাথে আমার মতের অমিল হত তখন ভাবতাম, অনেকের বাবাই তো অসুস্থ হয়, আমার বাবা অসুস্থ হয় না কেন?(আল্লাহ্‌ মাফ করুক) আজ বুজতেসি, বাবারা অসুস্থ হওয়া মানে কি? বাবারা হলেন আমাদের মাথার উপর ছাদের মত। যার মাথার উপর ছাদ নেই, সেই জানে এর মর্মার্থ কি।
বাবা সম্পর্কে সবকিছু লিখতে গেলে হয়ত এই পোস্ট কখনো ফেসবুক ওয়ালের মুখ দেখবে না। তাই আপাতত এইখানেই ইতি টানলাম। সব শেষে শুধু এতটুকুই বলতে চাই, বাবা হল সেই অদৃশ্য দেয়াল যিনি না থাকলে হয়ত অনেক আগেই আমি ভেঙ্গে গুঁড়ো হয়ে রাস্তায় মিশে যেতাম। 

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এতই যখন শ্রদ্ধা ভালবাসা তাহলেমু তাঁরা আজ ভিক্ষা করে কেন, রিক্সা চালায় কেন, কেন বই বিক্রি করে???

প্রতিবার শুধু মুক্তিযোদ্ধা বাড়ছে... কোথা থেকে পয়দা হচ্ছে এত নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধা??? 

শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাড়ানোই কি সব??? কি করেছি বা করছি তাঁদের জন্য??? পারিতো শুধু ফেইসবুকে পোষ্ট, কমেন্ট, শেয়ার আর লাইকের বন্যা বইয়ে দিতে.

তারপরও যুবকেরা একটি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটে,,,,,,,,,,,,

তারপরও বেকার যুবকেরা একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখে......
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনালে ভীড় জমায় একদল তরুন।
তাদের লক্ষ্য ঢাকা; কারন এদেশে ঝাড়ুদার নিয়োগ করলেও তার নিয়োগ পরীক্ষা হয়
ঢাকা থেকে।
তারা কেউ প্রিলি দেবে; কেউ রিটেন; কেউ ভাইভা।
কারো প্রথম, কারো পঞ্চাশতম; কারো বয়স শেষের শেষ পরীক্ষা।।
মা ফোন দেয়- 'বাবা পাশ করেছিস দুই বছর হল; একটা কিছু কর। তোর বাবার পক্ষে আর
সম্ভব না।
মা তোর জন্য আশীর্বাদ করছি। এবার তোর চাকরি হবেই হবে'
বাবা ফোন দেয়- 'বাবা আমাদের জন্য না; তোর জন্য একটা চাকরি ঠিক কর; বয়স কত
হয়েছে খেয়াল আছে তোর।'
কথা দেয়া প্রিয়তমার ফোন বাজে - 'তুমি বিসিএস ক্যাডার হও; ব্যাংকার হও
এইটা আমি চাই না; একটা ছোটখাট চাকরি যোগাড় করো প্লিজ। বড় জব
পরে দেখা যাবে।'
শুধুমাত্র একটি চাকুরির জন্য যুবকটি অনার্স ফাস্ট ইয়ার থেকে মুখস্ত করে আসছে -
কারেন্ট নিউজ, কারেন্ট ওয়ার্ল্ডয়ের সব সংখ্যা; জবের সকল গাইড।
পৃথিবীর ২১৫ টি দেশের রাজধানী, মুদ্রা, আয়তন, জনসংখ্যা, রাষ্ট্রনায়কের নাম
সবই তার মুখস্থ।
যমুনা সেতুর পিলার কয়টা? চর্যাপদের কোন লাইন কে লিখেছেন? কোন জেলায় কি আছে?
পৃথিবীর কোন নদী, শহর, প্রনালী, বাঁধ কোথায়? .. .... ... সবই তার মুখস্থ।
যুবকটি একটি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে রাতভর পাড়ি দিয়ে ঢাকা পোঁছায়। সকালে পরীক্ষা।
ঢাকায় নেমে হাতমুখ ধুয়ে ২টা পরটা গিলে এক্সাম হলে দৌড় দেয়।
পরীক্ষা ভালোই দেয়; হল থেকে বের হওয়ার পরপরই পর্যায়ক্রমে- মা, বাবা,
প্রিয়তমা, বন্ধুদের ফোন।
বাসে ওঠে যখন শুনে তার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে; মন ভেঙ্গে যায়।
বেশিরভাগ যুবকেরাই বার বার ভাইভা দেই, কিন্তু চাকরি মিলে না।
ফিজিক্স থেকে পাস করে চাকরি মিলে হয়ত কৃষি ব্যাংকে;
সারাজীবন রসায়ন পড়ে হয়ত ঢুকে পুলিশ বিভাগে;
প্রানীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা পড়ে তাকে ঢুকতে হয় মার্কেটিং জবে !!
কেউ পুরো বেকার; কেউ অর্ধেক বেকার; কেউ কোনমতে পড়ে থাকে পেটচালানোর জন্য।।
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমাদের যুবকদের জন্য চাকরির নিশ্চয়তা নেই।
রাষ্ট্র ডিজিটাল হয়; জিডিপি বাড়ে; বাজেটের আকার বাড়ে; শতশত মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানি দেশে ঢুকে;
কেবল উন্নয়নের চুক্তি হয়; বৈঠক হয়; ঝাঁকে ঝাঁকে সেমিনার-সিম্পজিয়াম হয় ......
কেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাড়ে না, কর্মসংস্থান বাড়ে না।
বেকারের ভীড় বাড়তে থাকে; ১টি পোস্টের বিপরীতে উপছে পড়ে হাজার হাজার
প্রতিযোগী ।।
তারপরও যুবকেরা একটি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটে;
কোন এক শুক্রবারে তার স্বপ্ন পুরন হবে।।
মাকে ফোন করে বলবে- 'মারে আমার চাকরি হয়েছে'
বাবাকে বলবে- 'বাবা তুমি এবার বিশ্রাম নাও; শুধু বাজার করবে;
পত্রিকা পড়বে আর টিভি দেখবে'।
প্রিয়তমাকে বলবে- 'আগামী মাসেই তোমার বাবার সামনে আমি দাঁড়াবো;
দেখি কে ঠেকাই' ।।