আজকে বয়সের দোহাই দিয়ে, দায়িত্ববোধের দোহাই দিয়ে ছেলেদের দ্রুত বিয়েতে নিরুৎসাহিত করা হয়। অথচ বাস্তবতা হল, আজকের দিনে ক্লাস টু এর একটা ছেলে যত কিছু বোঝে, আমরা এত বড় হয়েও এত বুঝি না। একটা ছেলে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোর সাথে সাথে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি তাঁর আকর্ষণ সৃষ্টি হবে-এটাই স্বাভাবিক। মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই কথা। কিন্তু তারা যখন দেখে বৈধ উপায়ে অর্থাৎ বিয়ের মাধ্যমে নিজের শারীরিক-মানসিক চাহিদা মেটানো বহু বছর পরের ঘটনা-তখন সে প্রতিনিয়ত নিজের সাথে করতে থাকা যুদ্ধে রণভঙ্গ দেয়। এতে করে একরকম বাধ্য হয়েই সে বেছে নেয় হারাম সম্পর্কের পথ। আজকে আমরা দেখি স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা কীভাবে সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। কীভাবে নিতান্ত অল্পবয়সী মেয়েরা প্রেগন্যান্ট হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে বয়ফ্রেন্ডের প্রতারণার স্বীকার মেয়েটি আত্মহত্যার পথা বেছে নিচ্ছে। এটাই কি হল সভ্যতা? এই বিধানই কি হল সুন্দর আর উন্নত বিধান? ছেলেমেয়েরা প্রেম করছে, একসাথে ঘুরছে, রেস্টোরেন্টে খাচ্ছে, বাড়ি থেকে পালাচ্ছে, হোটেলে রাত কাটাচ্ছে, শারীরিকভাবে মিলিত হচ্ছে, অবৈধ সন্তান গর্ভে ধারণ করছে- আর বিয়ের কথা বললেই বয়স হয়নি??? বিয়ের কথা উঠলেই দায়িত্ববোধ নেই? ছেলেমেয়েরা আর কী কী করতে পারলে 'বাচ্চা' থেকে 'বড়' হয়ে উঠবে, আমার জানা নেই। অল্পবয়সে বিয়ে হলেই আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ? যে আইন আমার ভাইয়ের চরিত্র রক্ষা করতে পারে না, যে আইন আমার বোনের সম্মান বাঁচাতে পারে না, সে আইনের পশ্চাদ্দেশে লাথি মারি
একটা ছেলে পাশ করে চাকরি করলেও হয়না। তাকে অনেএএএক টাকা ইনকাম করতে হবে। এই ছেলের সম্ভাব্য বউ ততদিনে কলেজ ভার্সিটিতে ডজনখানেক রোমিওর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বসে থাকে। এরপর ৩০বছর, ৩২ বছরে সবাই ছেলেটিকে বিয়ে দিতে অস্থির হবে -- তখন তার চরিত্র কেমন আছে কে জানে, মেয়েটারটাও কে জানে। বিয়ের পবিত্র আবেগ বহু আগেই তাদের হারিয়ে ক্ষয়ে যায় -- তা যে কেউ বুঝে। শারীরিক-মানসিক এই চাওয়া পূরণে তারা যে আগেই কোথাও সাময়িক ঢুঁ মারেনি তাইবা কে জানে?
মাজে অশ্লীলতার প্রসার বন্ধ না করে, বিবাহের প্রথা আরো ব্যাপকভাবে কার্যকর না করে কেবল নীতিকথার বুলি আওড়িয়ে তারুণ্যের অবক্ষয় রোধ করা কস্মিনকালেও সম্ভব না। ঐশীরা এই সমাজব্যবস্থারই আউটপুট-এটা যেন আমরা কখনো ভুলে না যাই।
যথার্থ বলেছেন; আমাদের অভিভাবকদের কাছে চরিত্র রক্ষার চাইতে সমাজে সম্মান রক্ষা বেশি জরুরি । ডিগ্রী লাগবে, সার্টিফিকেট লাগবে । চরিত্র যায় যাক ।
উত্তরমুছুন