বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

সরকারের উচিত দেশবাসীকে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক থেকে মুক্তি দেয়া। (AMARBLOG ২০/০৯/২০১০ - ০৭:৪৩)

সরকারের উচিত দেশবাসীকে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক থেকে মুক্তি দেয়া।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

https://www.amarblog.com/gmail/posts/116401

অ্যানথ্রাক্স প্রচারণায় পথে বসছে গোশত ব্যবসায়ী, কৃষক।

চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দেশের দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণী। সরকারের সমন্বয়হীনতা এবং স্পষ্ট ও দৃঢ় ভূমিকা না নেয়ার জন্যই এরূপটি হচ্ছে। সরকারের উচিত কথিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে দেশবাসীকে অযথা অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক থেকে মুক্তি দেয়া।



অ্যানথ্রাক্স মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, অ্যানথ্রাক্স এখন পর্যন্ত কোন মানুষের মৃত্যু ঘটেনি। এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। রোগটি শতভাগ নিরাময়যোগ্য। সুস্থ গবাদিপশুর গোশত খাওয়া যাবে। আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গবাদিপশুর শরীরে রোগের উপসর্গ ফুটে ওঠে। আর আক্রান্তের মাত্র দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে পশুটির মৃত্যু ঘটে। এ রোগে আক্রান্ত গবাদিপশু খুব তাড়াতাড়ি চেনা যায় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

অভিযোগ উঠেছে, সরকারি অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধ কার্যক্রমে কোন সমন্বয় থাকছে না। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চলছে নিজ নিজ পথে। এই দুটি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় না থাকলে অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। অভিযোগ উঠেছে, রেড এলার্ট জারি করার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোন আলোচনা করেনি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যেভাবে বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ততটা দিচ্ছে না। আক্রান্ত মানুষ ও গবাদিপশুর সন্ধান ও চিকিৎসা দেয়ার মধ্যে দুটি মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্বপালন সীমাবদ্ধ রেখেছে। সরকারি উদ্যোগে জবাইয়ের আগে গবাদিপশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। মেডিক্যাল পরীক্ষা ছাড়াই চলছে গবাদিপশু জবাই ও বাজারজাতকরণ। অসুস্থ গবাদিপশুর গোশত খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সাধারণ মানুষ কিভাবে গবাদিপশুর সুস্থতা যাচাই করবে, তার কোন দিক নির্দেশনা দিতে পারেনি সরকার। এ সব কারণেই আস্থা ফিরে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) থেকে বলা হয়েছে, তড়কা (অ্যানথ্রাক্স) নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। দেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এ রোগের ব্যবস্থা রয়েছে। এ্যানথ্রাক্সে এখন পর্যন্ত কোন মানুষের মৃত্যু ঘটেনি। এ রোগে মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি নেই বললেই চলে। এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। রোগটি শতভাগ নিরাময়যোগ্য। আক্রান্ত মানুষের জন্য ১০ দিনের একটি প্যাকেজ চিকিৎসা রয়েছে। চিকিৎসা নিলে খুব তাড়াতাড়ি মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠে।

দেশে অ্যানথ্রাক্স নতুন কোন রোগ নয়। এর আগে গবাদিপশু, মানুষ ও হাতির শরীরে দেখা দিয়েছিল। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। এজন্য দরকার সতর্কতা ও সঠিক সময়ে যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। গোশত রান্নার সময় কম তাপমাত্রা থাকলে জীবাণু মরে না। বিদেশে আধা সিদ্ধ করায় এ ঝুঁকি রয়ে যায়। কিন' বাংলাদেশে রান্নার সময় যে পরিমাণ তাপ দেয়া হয়, তাতে এ ঝুঁকি থাকে না। আর সময়মতো চিকিৎসা করলে মৃত্যু ঝুঁকি থাকে না।

কিন' এসব অভয় বাণীতেও থামছে না সাধারণের আতঙ্ক। গবাদিপশুর গোশত খাওয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক এলাকায়। দাম কমেছে গরু ও ছাগলের। হোটেল-রেস্টুরেন্টে গরু-খাসির গোশতের চাহিদা কমে গেছে। গোশত ব্যবসায়ীরা পড়েছে বিপাকে।

গোশত ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে। কিন' সরকার তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। অবশেষে বাধ্য হয়ে অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ গোশত ব্যবসায়ী সমিতি। অ্যানথ্রাক্সের নামে আতঙ্ক ছড়ানো গরুর গোশতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে দাবি করে সমিতির নেতারা সরকার ও গণমাধ্যমের কাছে এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

গত শুক্রবার বিকেলে গাবতলী পশুর হাটে বাংলাদেশ গোশত ব্যবসায়ী সমিতি অ্যানথ্রাক্সের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে গোশত ব্যবসায়ীরা ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেন, এর মধ্যে সরকার কোনো উদ্যোগ না নিলে বড় ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হবে।

সভায় সমিতির নেতারা উদাহরণ টেনে বলেন, পোশাকশিল্পের সমস্যা সরকার সমাধান করেছে। অ্যানথ্রাক্স-সমস্যাও সরকারকে ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান করতে হবে। গরুর গোশতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ না করলে সারা দেশে একযোগে আন্দোলন শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ গোশত ব্যবসায়ী সমিতির বলেন, অ্যানথ্রাক্স নিয়ে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ থেকে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় গরুর গোশত বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

জানা গেছে, অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কের আগে রাজধানীর প্রায় পাঁচ হাজার গোশতের দোকানে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার গরু জবাই হতো। এখন এ সংখ্যা ২শ’তে নেমে এসেছে। এতে গোশত বিক্রির পেশার সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৫ হাজার মানুষের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

গাবতলী পশুর হাট কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগামী কোরবানি ঈদের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কৃষকেরা বিপুলসংখ্যক গরু-ছাগল মজুদ করে রেখেছেন। অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কের কারণে গাবতলী গরুর হাটে গরু আমদানি ও বিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

অথচ অ্যানথ্রাক্স একটি সাধারণ রোগ। রাজধানীতে এখনও অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সরকার ও গণমাধ্যম মিলে এর সঞ্চালনকে ভয়াবহ বলে প্রচার করছে। তাই মানুষ গোশত কিনছে না।

গোশত ব্যবসায়ী সমিতি বলেছেন, গোশত ব্যবসায়ীরা এবার ঈদ করতে পারেননি। কারণ, মানুষ গরুর গোশত কিনছে না। এ সবই ষড়যন্ত্রের অংশ। সে সব ষড়যন্ত্রকারীকেও আমরা চিনি। তাদেরকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

কিছুদিন গোশত না খাওয়ার পরামর্শ দেয়ার জন্য তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পশু চিকিৎসকও ব্যক্ত করেছে, ভাল করে গোশত রান্না করলে অ্যানথ্রাক্সে জীবাণু আর থাকে না। এতে কেউ মারা যাবে না। পশুর দেহে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমিত হলে একদিনের মধ্যেই মারা যায়। এ কারণে গরুর মালিকও যথাসময়ে রোগ শনাক্ত করতে পারে না। তাই অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু ঢাকায় এনে বিক্রির সম্ভাবনা নেই।

মন্তব্য


ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

গোশত ব্যবসায়ী সমিতি বলেছেন, গোশত ব্যবসায়ীরা এবার ঈদ করতে পারেননি। কারণ, মানুষ গরুর গোশত কিনছে না। এ সবই ষড়যন্ত্রের অংশ। সে সব ষড়যন্ত্রকারীকেও আমরা চিনি। তাদেরকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
    
**************************************************************************
কি জানি কি মঞ্চায়.........

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

উনি ওনেক কষ্ট কইরা কপি পেষ্ট আদামাদা লেখছেন - উনারে - লাইক দেন।



~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পৃথিবীটা হচ্ছে একটা উর্বর খামাড় যেখানে মানুষ নামের প্রাণীগুলো বিভিণ্ন মতবাদে নিজেরাই নিজেদের মুরগী বানিয়ে রেখেছে!

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

হরতাল দিয়া দেন,আতংক অন্য আতংকে পরিনত হবে।
___________
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

(N) (N) (N)
............................................................................................................
ভালোবাসা মানে আগাম চলার সুর,ভালোবাসা মানে অবিরাম চলাবসা

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

সরকারের এত সময় নাই এইসব বিষয় নিয়া চিন্তা করার, তার ব্যাস্ত তাদের রাজনীতি নিয়া। মাংস সাধারন মানুষ খায় তারা খায় না। যদি পারেন, সাধারন জনগন কিভাবে এর সমস্যার সমাধান করবে সেই পথ বলে দেন আর যদি একেবারেই সরকারের সাহায্য প্রয়োজন হয়, তাইলে এর ভিতর কিভাবে রাজনীতি ঢুকানো যায় সেইটা চিন্তা করেন। এতদিন হইয়া গেল তারপরও সরকারের আশায় বসে আছেন? বিষয়টা চিন্তা করতেও ভয় লাগে। যা কিছু করার সব আপনাদের আমাদেরই করতে হবে, এভাবে আগান দেখবেন আজ না হইলেও শতবর্ষ পরে আমাদের এই দেশ সমৃদ্ধি অজর্ন করছে। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য এবং আমাদের আবার স্মরন করে দেওয়ার জন্য যে এরকম একটা ভয়ংকর সমস্যা নিয়া আমরা এখনো বহালতবিয়তে জীবনযাপন করতেছি।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

আরও অনেক সমস্যা নিয়ে আমরা বেঁচে আছে এবং এভাবেই থাকতে হবে ।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

আমাদের দেশে কোন সমস্যা সমাধানের দায়ভার এদেশের সরকারের নেই।এনত্রাক্স আতংক ছড়িয়ে দ্বায়িত্ব শেষ।যেন মানুষকে জানানোর মাঝেই সরকারী দ্বায়িত্ব খতম।কিন্তু কি এর প্রতিকার বা গরু ব্যবসায়ী বা কসাইদের কি হবে তা নিয়ে কোন দিক নির্দেশনা বা প্রতিকার নেই।এরই নাম বাংলাদেশ।

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

কসাই গুলা ধর্মঘটে গেলে সাধারন মানুষ খুশিই হবে <:-P

ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

আমি একটা জিনিস বুঝতে পারছি না, সবার হঠাৎ করে কসাইপ্রীতি হল কেন! আরে ভাই জিহ্বা যদি কয়দিন সামলে রাখার ফলে গরু ও গরুর মাংসের দাম কমে যায়, তাতে ক্ষতি কি?

এই কসাইরাই কি সেই প্রজাতির প্রানী না, যারা গরুর মাংসের দাম ১২০ টাকা থেকে চোখের পলকে ২৫০ টাকায় উঠিয়ে এনেছিল? তখন তারা যেহেতু চিন্তা করেনি যে এই বাড়তি দাম দিয়ে মাংস কেনা সাধারণদের পক্ষে অসম্ভব, তো এখন আমরা কেন এত মাথা ঘামাব? সহানুভূতির ব্যপার দুই পক্ষেই থাকা উচিৎ।

আমি জানি যে, অনেকেই অনেক যুক্তি দেখাবে দাম বাড়ার ব্যপারে। কিন্তু আসল ব্যপার হল যে, ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হবার পর অনেক বছর পার হয়েছে, তো এতদিনে আমাদের গরু পালকেরা গরুর সংখ্যা বাড়িয়ে যে স্বনির্ভরতা অর্জনের চেষ্টা করার দরকার ছিল তা করেনি। কারণ তাহলে যে গরুর মাংসের দাম কমে যাবে। আর আমাদের দেশের গরুদের কচুরীপানা আর ঘাস ছাড়া এমন আহামরি কিছু খাওয়ানো হয়না যে সেই খাদ্যের দাম বাড়ার ফলে গরুর দাম বাড়তে পারে।

গরু ব্যবসায়ীদের নেতারা সমাবেশ করে বলল যে, কেউ অ্যানথ্রাক্স এ আক্রান্ত হলে ৩০০/৩৫০ টাকার ঔষধ খেলেই সুস্থ হয়ে যাবে, এ কথার মাঝেই তো স্পষ্ট বোঝা যায় যে, আমরা যদি তাদের বিক্রি করা মাংস খাবার কারণে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হই তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।

হয়তো অনেকেই বলবেন যে কসাইরা অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রি করবে না। কিন্তু বিশ্বাস করা কষ্ট। এই কসাইরাই আরিচা তে খাসীর মাংস বলে কুকুরের মাংস খাইয়েছিল সবাইকে।


ব্লগারের প্রোফাইল ছবি

@কাল-পুরুষ, সহমত
___________________
------------------------------
শ্লোগান আমার কন্ঠের গান, প্রতিবাদ মুখের বোল
বিদ্রোহ আজ ধমনীতে উষ্ণ রক্তের তান্ডব নৃত্য।।
দূর্জয় গেরিলার বাহুর প্রতাপে হবে অস্থির চঞ্চল প্রলয়
একজন সূর্যসেনের রক্তস্রোতে হবে সহস্র নবীন সূর্যোদয়।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন